ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা: প্রশাসনের খবর নেই!

গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়ায় নির্বিচারে চলছে সংরক্ষিত বনভূমির পাহাড় কাটা। দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী পাহাড়খেকো স্থানীয় বন বিভাগকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে দেদারসে মাটি বিক্রি করলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি স্থানীয় প্রশাসন। এ নিয়ে স্থানীয় পরিবেশবাদী সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর নির্বিচারে পাহাড় কেটে সাবাড় করায় পরিবেশও মারাত্মক হুমকির মূূখে পড়েছে।

স্থাণীয়রা অভিযোগ করেছেন, বারবাকিয়া ওয়ারেচী বাড়ির শহিদুর রহমান ওয়ারেচীর নেতৃত্বে একদল লোক দীর্ঘদিন ধরে বারবাকিয়া বন বিটের অধীন সংরক্ষিত বনভূমি পাহাড়িয়াখালী এলাকায় স্কেভেটার দিয়ে নির্বিচারে পাহাড় কাটছে। গত ৫ অক্টোবর বিকালে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মারুফুর রশিদ খানের নেতৃত্বে বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার সময় শহিদুর রহমান ওয়ারেচীর মালিকানাধীন ওই স্কেভেটারটি জব্দও করেছিলেন। পরে সেটি ভ্রাম্যমান আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ফের পাহাড় কাটছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শহিদুর রহমান ওয়ারেচী দীর্ঘদিন ধরে বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত পাহাড় ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় জোর পূর্বক স্কেভেটার দিয়ে কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে। রহস্যজনক কারণে বারবাকিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তারা পাহাড় কাটা বন্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ওই প্রভাবশালী গত এক বছর ধরে বন বিভাগের পাহাড় কেটে দেদারসে মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও পাহাড়িয়াখালী এলাকার অনেক নিরীহ লোকের ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে ওই প্রভাবশালী।

এ প্রসঙ্গে জানতে বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই প্রভাবশালীদের পাহাড় কাটা বন্ধে বারবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। তারা বন বিভাগের কোন কথাই শুনছেনা। তিনি অভিযোগ করেছেন, পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান চালাতে তিনি উর্দ্ধতন প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে সহযোগীতা চাইলেও পায়নি। তবে তিনি পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: